বর্তমানে এখন প্রায় সবাই স্টার্টাপ এবং উদ্যোক্তা বিষয়ে মোটামুটি জ্ঞান রাখে। যারা যারা উদোক্ত্যা এবং ব্যবসা নিয়ে মোটামুটি খোজখবর রাখেন তাদের কাছে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক পরিচিত একটা শব্দ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে সাড়া জাগানো মার্কেটিং পদ্ধতি হলো গেরিলা মার্কেটিং।
গেরিলা মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন একটি শাখা যেখানে একই সাথে অনলাইন এবং অফলাইনে পণ্যের বিজ্ঞাপন সহজেই করা যায়। যেকোনো পণ্যের বহুল প্রচার ও প্রসার এবং মার্কেটিংয়ের একটি অন্যতম শক্তিশালী কৌশল হলো গেরিলা মার্কেটিং। কম খরচে বেশি জনসাধারণের মাঝে প্রচার করার কৌশল প্রক্রিয়া গেরিলা মার্কেটিং।
গেরিলা মার্কেটিং এর অফলাইন মাধ্যম গুলো বেশি প্রচলিত হলেও অনলাইন মাধ্যম গুলো একেবারে ফেলনা নয়। বরং করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় বেশির ভাগ কোম্পানীই তাদের আগ্রহ ও পছন্দের প্রথমে রেখেছে গেরিলা মার্কেটিং এর অনলাইন মাধ্যম গুলোকে। আজকে আমরা এই মাধ্যম গুলো সম্পর্কে জানবো। কিন্তু প্রথমে আমাদের জানা উচিত গেরিলা মার্কেটিং আসলে কি?
গেরিলা মার্কেটিং কি?
যুদ্ধক্ষেত্রে বহুল ব্যবহার হওয়া গেরিলা কৌশল থেকেই নাম এসেছে এই গেরিলা মার্কেটিংয়ের। গেরিলা যুদ্ধে সাধারণত প্রথাগত যুদ্ধের নিয়ম না মেনে বরং ঝটিকা আক্রমণে প্রতিপক্ষকে হকচকিয়ে দেওয়া হয় খানিকক্ষণের জন্য।গেরিলা মার্কেটিংও তাই। নিয়মিত বিজ্ঞাপনের বাইরে গিয়ে অপ্রচলিত রীতিতে চমক লাগিয়ে গ্রাহক মনে দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করাই গেরিলা মার্কেটিংয়ের মূল লক্ষ্য।
গেরিলা মার্কেটিং এর কোনো বাধাধরা সংজ্ঞা এখনও পাওয়া যায় নাহ। তবে গেরিলা মার্কেটিং মূলত একটি বিজ্ঞাপন এর কৌশল যেখানে একটি কোম্পানি তার পণ্য অথবা পরিষেবা প্রচারের জন্য বিস্ময়কর কিছু পদ্ধতি অথবা অপ্রচলিত মিথস্ক্রিয়া ব্যবহার করে থাকে যার উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের চমক দেয়া। গেরিলা মার্কেটিং এ সরাসরি কোনো পণ্য বিক্রয় করার কথা বলা হয় না। বরং মানুষের মনের উপর একটি প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে, একজন মানুষকে স্থায়ী ক্রেতায় রূপান্তর এর মূল উদ্দেশ্য।
গেরিলা মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এটির জন্য যে পরিমাণ খরচ হত তা অন্যান্য মার্কেটিং পদ্ধতি গুলোর চেয়ে অনেক কম। এটি সাধারণত ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর একটি প্রধান শাখা, যাতে অপ্রচলিত এবং ব্যতিক্রমী ধারণার উপর ভিত্তি করে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ডিজাইন করা হয়। গেরিলা মার্কেটিং এর প্রবক্তা হলেন লিও বার্নেট এজেন্সির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ‘জে কনরাড লেভিনসন’। গেরিলা মার্কেটিংয়েরও আবার বিভিন্ন রকমফের আছে যাদের মধ্যে অ্যামবুশ মার্কেটিং, অ্যাম্বিয়েন্ট মার্কেটিং, স্ট্রিট মার্কেটিং, গ্রাস রুট মার্কেটিং, স্টিলথ মার্কেটিং, এক্সপেরিমেন্টাল মার্কেটিং ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
পত্রিকা থেকে শুরু করে রেডিও, টিভি কিংবা অনলাইনে একই ধরনের এবং ক্রমাগত বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে আজকাল সাধারণ জনগণ অভ্যস্ত হলেও ক্ষেত্রবিশেষে তাদের বিরক্তির সীমা এতটাই অতিক্রম করে যে প্রথাগত বিজ্ঞাপন জনগণ আজকাল বেশির ভাগ সময় এড়িয়ে যায় । বিজ্ঞাপন বিরতিতে চ্যানেল ঘুরিয়ে অন্য চ্যানেলে হরহামেশাই চলে যায় তারা। কিংবা ওয়েবসাইটের যেসব জায়গায় ব্যানার বিজ্ঞাপন ঝুলে সেখানে তারা আজকাল ভালোমতো নজরই বোলায় না ইদানীং। ঝানু বিপণন কৌশলীরা তাই নিয়মিত উপায় খোঁজেন লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ কীভাবে করা যায় সে উপায়ের এবং সে উপায় হিসেবে গেরিলা মার্কেটিং আজকাল সে জায়গাটা তৈরি করে দিচ্ছে বিপণন-সম্পর্কিত কর্মীদের।
এই ধরণের মার্কেটিং এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল কল্পনা এবং প্রচলিত উপায়ের সংমিশ্রণ করে মার্কেটিং কৌশল নির্ধারণ করা যা ভোক্তার সাথে একটি নতুন লিংক তৈরি করে। তবে এইক্ষেত্রে লিংক তৈরীর ফলাফল অবশ্যই মানুষের মনোবিজ্ঞানের ভিত্তিতে হওয়া উচিত, পণ্যটির প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলিতে নয়। গেরিলা বিপণনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যটি হ’ল এটি তৈরী করা হয় জনসাধারণের কাছে কোনও পরিষেবা বা পণ্য সরবরাহ করার উপর ভিত্তি করে নয়, বরং বাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগিতাটিতে প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাপিয়ে ও ছিটকে উপরে উঠে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে।
ডিজিটাল গেরিলা মার্কেটিং
ডিজিটালাইজেশন এর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বর্তমান দুনিয়ায় ফেসবুক, টুইটার বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে খুব সহজেই গেরিলা মার্কেটিং করা যায়। ইউটিউব বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার মাধ্যমে সাধারণত সহজেই পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায় এবং এই ধরনের ,মাধ্যমে যেকোনো বিজ্ঞাপন খুব সহজেই কম সময়ে অনেক মানুষের নিকট পণ্যকে তুলে ধরে।
সোশ্যাল মিডিয়া বিপণনকারীদের জন্য গেরিলা মার্কেটিং সহজ করে তুলেছে কারণ এখন পণ্যের গেরিলা মার্কেটিং অই পণ্যের টার্গেট অডিয়েন্স লক্ষ্য করে করা হচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই টার্গেট অডিয়েন্সরা নিজের অজান্তেই গেরিলা মার্কেটিং এর কিছু কাজ করছেন। যখনই আপনি অনলাইনে বিজ্ঞাপনের একটি অংশ রিটুইট বা শেয়ার করেন তখন আপনি অই পণ্যের গেরিলা মার্কেটিং এর সাথে সম্পর্কিত হয়ে যান। এছাড়াও, আপনার অনুসারীরা এই ধরণের সামগ্রী দেখার আশা করছেন না, যদি না আপনার নিউজফিড রিটুইট এবং গেরিলা মার্কেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিসের শেয়ারে পূর্ণ না হয়। আপনি তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত কিছু উপস্থাপন করছেন এবং মূল পোস্টের নাগাল বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
ডিজিটাল দুনিয়ায় গেরিলা মার্কেটিং কিছু কৌশল নিচে দেওয়া হলো, এই কৌশল গুলো সম্পর্কে হয়তো আপনি অজানা কিন্তু আপনি আপনার অজান্তেই এই মার্কেটিং পদ্ধতির অংশগ্রহণকারী হয়ে যাচ্ছেন,
1) সোশ্যাল মিডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় গেরিলা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে যে গেরিলা মার্কেটিং কৌশলটি যেন মজাদার এবং সৃজনশীল হয়।
আপনি সোশ্যাল মিডিয়াকে গেরিলা মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করুন বা না করুন, সোশ্যাল মিডিয়াকে আপনার মার্কেটিং কৌশল হিসাবে থেকে বাদ দেওয়া হবে সবচেয়ে অবুদ্ধিমানের মতো একটি কাজ। ২০১৯ সালের হিসাবে, বিশ্বে সর্বমোট ৩.৫ বিলিয়ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছে যা বিশ্বের সর্বমোট জনসংখ্যার ৪৫%। ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট এবং এমনকি জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ্লিকেশন টিন্ডারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি আপনার পণ্যের গেরিলা মার্কেটিং জন্য একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম হবে যদি আপনি যথেষ্ট সৃজনশীল হন
২০১৬ সালে ডেডপুল চলচ্চিত্রটি মুক্তির আগে চলচ্চিত্রটির প্রচারের জন্য, মার্ভেল তাদের টার্গেট অডিয়েন্সদের কাছে সিনেমাটি বাজারজাত করার জন্যে একটি স্বাভাবিক কিন্তু অত্যন্ত সৃজনশীল এবং মজাদার পদ্ধিতির আশ্রয় নেয়। ২০১৫ সালে, চলচ্চিত্রটি মুক্তির কয়েক মাস আগে, টিন্ডার ব্যবহারকারীরা ডেডপুলের একটি প্রোফাইল ছবি সংবলিত একটি মজাদার বায়ো সহ ডেডপুলের সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখার সুযোগ পান। এইখানে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো যে বায়োর শেষে লেখা ছিল: “রায়ান রেনল্ডস অভিনীত ডেডপুল দেখুন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে।”
চলচ্চিত্রটির গেরিলা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে টিন্ডারকে বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ টিন্ডার এমন একটি অ্যাপ যা বেশিরভাগ ১৮-৪০ বছর বয়সীরা ব্যবহার করে, যা চলচ্চিত্রটির টার্গেট অডিয়েন্স এর মধ্যে সর্বাধিক। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়ার পর ডেডপুল বক্স অফিসে আধিপত্য বিস্তার করে এবং ৭৮৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে। এই ডিজিটাল গেরিলা মার্কেটিং কৌশলটি ছিল এই ধরণের প্রথম এবং হাস্যকরও আবার একই সাথে সৃজনশীল এবং মজাদার যা ডেডপুল চলচ্চিত্র এর সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল।
2) ভাইরাল ভিডিও
দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণের কারণে প্রতিদিন অসংখ্য ভিডিও ভাইরাল হয়,
- এটি দর্শকদের কাছ থেকে যে মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তোলে।
- ভিডিওটি অন্যদের কাছে শেয়ার করার জন্য এটি যে অনুপ্রেরণা তৈরি করে।
গেরিলা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ভাইরাল ভিডিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে, বিশেষ করে এই ডিজিটাল যুগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ১২ গুণ বেশি শেয়ার তৈরি করতে পারে, যা ছবি এবং টেক্সট এর শেয়ার সংখ্যা একত্রিত করলেও সম্ভব হবে নাহ, অন্যদিকে ৫১% মার্কেটিং কর্মীর মতে ভাইরাল ভিডিও এর মাধ্যমে গেরিলা মার্কেটিং থেকে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ রিটার্ন (আরওআই) পাওয়া সম্ভব।
এইখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে একটি ভিডিও ভাইরাল হত এমনটি জরূরী নয় যে ভিডিওটিকে কৌতুকপূর্ণই হতে হবে না বরং ভিডিওটি এমন একটি ভিডিও হবে যা সম্পূর্ণভাবে সৃজনশীল এবং অপ্রচলিত উপায়ে একটি অনুপ্রেরণামূলক বার্তা প্রচার করে।
Always মেয়েলি এবং ঋতুস্রাব স্বাস্থ্যবিধি পণ্যের একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। ২০১৪ সালে, অলওয়েজ একটি ভিডিওর মাধ্যমে তাদের #LikeAGirl প্রচারণা শুরু করে যা এই প্রশ্নের উত্তর দেয়: #LikeAGirl কাজ করার অর্থ কী? ভিডিওটির লক্ষ্য ছিল অল্প বয়সী মেয়েদের উপর রাখা সামাজিক সীমাবদ্ধতা মোকাবেলা করা যারা বয়ঃসন্ধির সময় তাদের আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে লড়াই করে।
ভিডিওটিতে সাক্ষাৎকারগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণকারী কিশোর ছেলে এবং মেয়েদের কাছে “মেয়ের মতো দৌড়ানোর” অর্থ কী তা প্রদর্শন করতে বলেছিলেন, যার উত্তরে প্রায় সবাইই খুব ধীর এবং উপহাসের ভঙ্গিতে দৌড়াতে এগিয়ে যান। কিন্তু সাক্ষাৎকারগ্রহণকারীরা তখন ১০ বছর বা তার কম বয়সী মেয়েদের “মেয়ের মতো দৌড়ানোর” অর্থ দেখাতে বলেছিলেন। তারা সবাই দেখিয়েছে যে তারা কীভাবে দৌড়েছিল যেখানে সকল মেয়েরাই খুব দ্রুত দৌড়িয়েছিলো এবং প্রত্যেকের দৃষ্টি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিবদ্ধ ছিলো যা সামগ্রিকভাবে প্রত্যেকে যেভাবে দৌড়ায় তারই একটি বহুল প্রচলিত রূপ ছিলো।
এই ভিডিওটি ইউটিউবে ৬৮ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে এবং যেভাবে লিঙ্গবৈষম্যের মত স্পর্শকাতর একটি বিষয়কে উপস্থাপন করেছে তার জন্য উচ্চহারে প্রশংসা পেয়েছে। Always এর মতে, ভিডিওটি দেখার পর ৯৪% মেয়ে এই বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে যে #LikeAGirl তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করেছে এবং ৭৬% মেয়েরা “একটি মেয়ের মতো” বাক্যাংশের সাথে তাদের নিজেদের একটি ইতিবাচক সম্পর্ক খুজে পেয়েছেন যা অন্যান্য বছরের তুলনায় ১৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।
3) সোশ্যাল কম্পিটিশন
ডিজিটাল গেরিলা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে, এখন টার্গেট অডিয়েন্সদের জড়িত করা সম্ভব। টার্গেট অডিয়েন্স লক্ষ্য করে তৈরী করা গেরিলা মার্কেটিং পদ্ধতি গ্রাহকদের বেশি পরিমাণে আকর্ষণ করতে সক্ষম। এইক্ষত্রে গেরিলা মার্কেটিং এমন হওয়া উচিত যেন মার্কেটিং পদ্ধতি অন্যও যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি বিস্ময়কর এবং অপ্রচলিত হতে পারে।
ডিজিলার মিডিয়া নামের একটি মার্কেটিং এজেন্সীর মতে ব্রান্ড গুলোর উচিত নিয়মিত বিভিন্ন ইনস্টাগ্রাম ফটো প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যেখানে যেখানে ব্র্যান্ডগুলি গ্রাহকদের ব্র্যান্ডের সাথে তাদের অভিজ্ঞতার ছোট ভিডিও বা গল্প গুলি শেয়ার করতে বলবে। এটি ব্র্যান্ড এবং গ্রাহক এর বিদ্যমান এবং অন্যান্য সম্ভাব্য গ্রাহকদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে পারে। এটি একটি খুব ইন্টারেক্টিভ এবং সম্পূর্ণ-অনলাইন বিপণন কৌশল।
গেরিলা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে, গেরিলা মার্কেটিং এর জন্যে করা ক্রিয়াকলাপ শব্দের চেয়ে জোরে কথা বলে। গেরিলা মার্কেটিং এর মাধ্যমে কোনো পণ্যের মার্কেটিং করতে চাইলে সৃজনশীলতা, আবেগ, একটি এক্স-ফ্যাক্টর থাকতে হবে যা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে আগ্রহ ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
শেষ কথা
আপনি কি জানেন যে গেরিলা মার্কেটিং এখন অনেক সংস্থার ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠছে? বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক সংস্থা তাদের প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশনালদের জন্য ৩-৪ টি জব ভ্যাকান্সি রাখতে ইচ্ছুক হয়ে উঠছে যেখানে তাদের অন্যতম প্রধান একটি কাজ হলো সংস্থাকে নিয়মিত গেরিলা মার্কেটিং এর জন্যে নতুন নতুন সৃজনশীল আইডিয়া প্রদান করা।
এই নিবন্ধে আমরা ব্যাখ্যা করেছি গেরিলা মার্কেটিং এ ডিজিটালাইজেশন কিভাবে আস্তে আস্তে পঞ্চম শিল্পায়নের এই বৈশ্বিক দুনিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এখন যেভাবে পঞ্চম শিল্পায়নে বিপ্লব এনেছে এবং তাতে গেরিলা মার্কেটিং কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে সে সম্পর্কে আপনি যদি আরও জানতে চান, তাহলে শীঘ্রই আজ আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে নাম লেখান!
আমাদের একটি কোর্সের সাথে, আপনি কেবল আরও ভালভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গেরিলা মার্কেটিং সম্পর্কে জানবেন না, বরং গেরিলা মার্কেটিং এর সাহায্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর য়াপনার প্রতিদ্বন্দীকে কিভাবে টপকে যেতে পারবেন তা জানতে পারবেন। আমরা আপনাকে এই কোর্সের মাধ্যমে আপনাকে এমন কিছু শিখাবো যা আপনাকে দেখাবে যে গেরিলা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন এর ব্যবহার কিভাবে আস্তে আস্তে গেরিলা মার্কেটিং এর প্রায় সকল ধারণা বদলে দিচ্ছে।
আপনাদের জন্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো এই কোর্সে এনরোল করার ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটরের মতো ডিজাইন সরঞ্জামগুলির সাথে আপনার আগের কোনও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। শুধু ওয়াইফাই অ্যাক্সেস সঙ্গে একটি ল্যাপটপ সঙ্গে আনুন, ক্লাস সম্পর্কিত অ্যাসাইনমেন্টের জন্য কিছু সময়, এবং আপনার নতুন কিছু শেখার আগ্রহ!
পরবর্তী অধিবেশনের জন্য এখনও কয়েকটি আসন অবশিষ্ট রয়েছে, তাই সাইন আপ করার আগে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করবেন না। আমরা আশা করি আপনি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ে উপভোগ করেছেন এবং এটি থেকে নতুন কিছু শিখেছেন। যত দ্রুত সম্ভব কোর্সটিতে এনরোল হওয়ার জন্যে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।